স্টাফ রিপোর্টার: বাগমারায় এবার নতুন আলুতে লাভের আশা করছেন স্থানীয় কৃষক। লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করেছেন অনেক কৃষক। গত বছর আলুতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তারা। এবার আগাম আলু চাষ করে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাইছেন তারা।
মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, গত বছর আলু চাষ করে তার উৎপাদন খরচ ওঠেনি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার তিনি তিন বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আগাম আলু চাষ করেছেন।
বর্তমানে তার আগাম আলুর বয়স ৪৫ দিন। আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই তিনি আলু উত্তোলন করতে পারবেন বলে আশা করছেন। হামিরকুৎসার আলু চাষী মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে আলুর দাম হবে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একই এলাকার আলু চাষী রফিকুল ইসলাম, আজাদুর রহমান, রহিদুল ইসলাম সহ ১০/১২ জন আলু চাষী জানান, আর মাত্র ১২/১৪ দিন পরেই তারা আলু উত্তোলন করতে পারবেন।
জানা গেছে এবার শুরুতে কিছুটা বৈরি আবহওয়ায় আলু চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। তবে বর্ষার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় তারা আলু চাষে ঝুকে পড়েন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ শুরু হয়েছে। ক্রমেই শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। বাগমারার ১৬ ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকাগুলোতে আগাম আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। কৃষকরা এখন এই আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত। কেউ আগাছ পরিস্কার, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, সেচ সহ সেউ ছত্রাক থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে ও আলুর সারিতে মাটি তুলে দেওয়ার কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, বৈরি আবহাওয়ায় আগাম আলু চাষ প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ক্ষতি হলেও পুনরায় আলু রোপণ করে এখন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবার কৃষকরা আলুর ভালো বাজার মূল্য পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তার মতে উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
আরবিসি /১৯ নভেম্বর/ রোজি