আরবিসি ডেস্ক : প্রচুর সরবরাহ থাকলেও শীতের মৌসুমে বাজারে কমেনি সবজির দাম। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ১৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৬০ টাকা, ফুল কফি প্রতি পিস ৬০ টাকা, পাতা কফি ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, শীতের মৌসুম আসলেও কমেনি সবজির দাম। নানা কারণে সবজির দাম বাড়তি। শীত বাড়লে সবজির দাম কমতে পারে।
এ সব বাজারে আলুর দাম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫৫-৬০ টাকা। ইন্ডিয়ান ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
দাম কমেছে কাঁচামরিচের। ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শসা ৮০ আর লেবুর হালি ১৫-২০ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ এবং দেশি ডাল ১১০ টাকায়।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
চিনি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ ও আটা ৩৫ টাকায়।
বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। ২৬০ টাকা কেজি। বেড়েছে লেয়ার মুরগি ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, শীতে মুরগির দাম যা আছে তাই থাকার সম্ভাবনা বেশি।
আরবিসি/১৯ নভেম্বর/ রোজি