আরবিসি ডেস্ক: মরুর দেশে সাফল্যের ফুল ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার রেশ এখনও কাটেনি। এর মাঝেই আরেকটি মিশন শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সাফল্যের খোঁজে মুশফিক-লিটন-সৌম্য-রুবেলের মতো ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। ‘নতুন’ দল নিয়ে আজ (শুক্রবার) পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন শুরুর মিশনে নামছে মাহমুদউল্লাহর দল।
হারের বৃত্ত ভাঙার লক্ষ্যে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন, টি স্পোর্টস ও বিটিভি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা-উন্মাদনা সবসময়ই থাকে। এবার যেন খানিকটা বেশিই সেই উত্তেজনা। ২০১৫ সালের পর এটাই দুই দেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনেকটাই তরুণ বাংলাদেশকে লড়তে হবে। অনেক বছর পর দলের সেরা তিন খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে ছাড়া খেলতে নামবে। ইনজুরির জন্য দলের বাইরে সাকিব-তামিম। আর ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে মুশফিককে। দলে একমাত্র সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ।
বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে মাহমুদউল্লাহ অপেক্ষায় আছেন ভালো শুরুর। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভালো করার বিষয়টি ছিল খুবই প্রত্যাশিত। তবে আমরা সেটি পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো শুরুটা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুরো সিরিজে অনুপ্রাণিত হতে ভালো একটি সূচনার অপেক্ষায় আছি আমরা।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিসংখ্যান মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছে সফরকারীরা। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের হোম অব ক্রিকেট বলেই আশায় বুক বাঁধতে পারে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে এখানেই হারিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ফলে আবারও টার্নিং উইকেট বানিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করতে পারে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ম্যাচের আগের দিনের উইকেট দেখে তেমনটাই বলে গেছেন, ‘অনুশীলন করে যতটা বুঝেছি, আমিরাতের মতো রান এখানে হবে না। আগের মতো উইকেট হোক বা ভিন্ন… ঢাকায় যত ম্যাচ খেলেছি, কিছুটা ধীরগতির থাকে উইকেট। স্পিনারদের সহায়তা থাকে। তবে বিপিএলে খেলেছি, সেই ৪-৫ বছর আগে (২০১৭ সালে)।’
যদিও মাহমুদউল্লাহর বক্তব্য ঠিক উল্টো, ‘উইকেট ভালোই মনে হলো। আশা করি, এটা ভালো উইকেট হবে। বিশ্বকাপের পর আমাদের বড় একটা চ্যালেঞ্জ এই সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলার এবং সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়ার জন্য ভালো একটা সুযোগ।’
উইকেট, কন্ডিশন- সবকিছুকে একপাশে ঠেলে নতুন শুরু চায় মাহমুদউল্লাহরা। যে শুরুর পথে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশ দল ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষায় প্রতিপক্ষের ওপর।
আরবিসি/১৯ নভেম্বর/ রোজি