মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান তিনি। ঘটনার পর সতিহাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘাত এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মৃত যুবকের নাম এমরান হোসেন রানা (৩৬)। তিনি উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সতিহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মন্ডলের পাঁচকর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর তিন কর্মী আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল চৌধুরীর কর্মী এমরান হোসেন রানা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান।
নিহত এমরান হোসেন রানার মা রেজিয়া বিবি বলেন, তার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে বাবুল চৌধুরীর বিআর সুপার পরিবহণের সুপারভাইজার ছিল। নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়ে সে মারা যায়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় নৌকার প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মন্ডলের পক্ষে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৮০-২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। কিস্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল চৌধুরীর পক্ষে কোন মামলা করা হয়নি। নিহত রানার মৃত্যুর ঘটনায় এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, সতিহাট এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরবিসি/১৮ নভেম্বর/ রোজি