• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত ছিল : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ৯১ Time View
Update : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : জিয়াউর রহমানের আমলে দেশের বিভিন্ন কারাগারে কি পরিমাণ মানুষ হত্যা করা হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সংসদ সদস্যদের একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত, জিয়ার আমলে প্রত্যেকটা কারাগারে কতো মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে।

বিশেষ করে ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা এবং কুমিল্লায়। একটার পর একটা ক্যু আর শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন।

রবিবার (১৪ নবেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর শত শত সৈনিক-কর্মকর্তা এবং মানুষকে সে সময় হত্যা করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলোতো (রেকর্ড) থেকে যায় সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন। একেক রাতে ফাঁসি দিতে দিতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলো, এখনো এরকম লোক আছে।

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এদের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। এদের কাছে জ্ঞানের কথা, আইনের শাসনের কথা শুনতে হয়। অথচ আমি আমার বাবা-মা হত্যার জন্য মামলা করতে পারিনি। আমার কোনো অধিকার ছিলো না।

তার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবো। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। সেই কল্যাণই হবে।

তিনি এ সময় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সকলের টিকার ব্যবস্থা করতে যত টিকা লাগে তার ব্যবস্থা সরকার করবে উল্লেখ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

জিয়া যে ’৭৫ এর জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত সেই অভিযোগ পুনরায় উত্থাপন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জিয়া ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আমি তাকে আসামি করতে চেয়েছিলাম। তখন আমাদের হোম সেক্রেটারি ছিল রেজাউল হায়াত, সে বললো- মৃত মানুষকেতো আসামি করা যায় না। কিন্তু আমার মনে হয় নামটা থাকা উচিত ছিলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া যে ষড়যন্ত্রে জড়িত তাতো ফারুক- রশিদ নিজেরাই বলেছে বিবিসির ইন্টারভিউতে। এ্যন্থনী ম্যাসকারহানস-এর বইতে আছে, লরেন্স লিফশুলজ এর বইতে আছে। কিভাবে অস্বীকার করবে।

আর তাই যদি না করে তাহলে স্বাধীনতার পর যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিলো তাদের সে ছেড়ে দিলো কেন। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ৭ খুনের আসামিকেও মুক্ত করে দিলো। এমন বহু ঘটনা সে ঘটিয়েছে। জিয়া সেই সব খুনিদের নিয়েই পরে দল করলো।

তিনি বলেন, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এক হয়ে এদেশে অগ্নিসংযোগ হত্যা, খুন ধর্ষণ করেছে তাদেরকে মন্ত্রী, উপদেষ্টা করে সংসদে বসাল। জাতির পিতার খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করলো।

আর তার থেকে একধাপ উপরে গিয়ে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া কর্নেল রশিদ এবং হুদাকে এমপি বানিয়ে সংসদে বসাল। এইতো তাদের চরিত্র। যে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধী, ধর্ষণকারী এদেরকে নিয়েই তাদের চলাফেরা। গোলাম আজম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান তাকে ফেরত নিয়ে আসলো।

আরবিসি/১৪ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category