• মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

অন্যায় করলে তার বিচার হবেই : আইনমন্ত্রী

Reporter Name / ৯৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক: ঋণ জালিয়াতি করে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে পৃথক দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি বলব, বিচার বিভাগের জন্য এটা কোনো সুখকর দিন নয়। কিন্তু এটাও সঠিক, অন্যায় করলে তার বিচার হবেই।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এ রায়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে আট জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন─ ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবু হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

এদের মধ্যে এমডি এ কে এম শামীমের চার বছরের কারাদণ্ড ও বাকি আসামিদের তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে সিনহাকে অর্থ পাচারের মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ঋণ জালিয়াতির দায়ে চার বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিন নির্ধারণ করা হয়। তার আগে গত ৫ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ডিসেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দেন। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

আরবিসি/০৯ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category