স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরুটি এখন রাজশাহীতে। ঢাকা থেকে গরুটি সংগ্রহ করে এনেছেন রাজশাহীর সওদাগর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইয়াসির আরাফাত রুবেল। নগরীর কাটাখালি শ্যামপুর এলাকায় গরুর খামার রয়েছে রুবেলের। আপাতত নগরীর বোয়ালিয়া থানার কালুমিস্ত্রির মোড়ে নিজ বাসায় এনে তুলেছে গরুটিকে। নাম দিয়েছেন ‘মাফিন’।
মাফিনকে একনজর দেখতে খামারি আরাফাত রুবেলের বাসায় ভিড় জমাচ্ছেন লোকজন। অনেকেই গরুটির সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। ভিড় জমাচ্ছেন শৌখিন খামারিরাও। মাফিনকে পেতে লাখ টাকাও দাম হাঁকছেন কেউ কেউ।
মূলত মাংসের উপযোগী গরু লালনপালন করেন রুবেল। খবর পেলে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যতিক্রমী গবাদিপশুও সংগ্রহ করেন। এখান তার খামারে শাহিওয়াল, গির, হাঁসা, মুন্ডি ও ব্রাহামা জাতের গরু রয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হলো ভুট্টি জাতের মাফিন।
মাফিনকে বেঁচতে চান না খামারি রুবেল। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রাকৃতির গরু হিসেবে তিনি এই গরুটি তিনি সংগ্রহ করেছেন। তিনি চান, গরুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক গরু হিসেবেই দর্শনার্থীদের জন্য থাক। তবে রাজশাহী কিংবা ঢাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চাইলে উপহার হিসেবেও গরুটি দিতে চান।
রুবেল বলেন, লম্বায় ২৮ ইঞ্চি গরুটির উচ্চতা সাড়ে ২৩ ইঞ্চি। আর ওজন সাকুল্যে ১৮ কেজি। টেঙুরা বা ভুট্টি জাতের গরুটি প্রাপ্তবয়স্ক (দুই দাঁত)। তার নাম দেওয়া হয়েছে মাফিন। বাচ্চারা তাকে সাধু নামেও ডাকছে।
‘দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু এখন মাফিন’ এমন দাবি করে এই খামারি রুবেল বলেন, দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু ছিল ‘রানী’। লম্বায় ২৭ ইঞ্চি রানীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি। ওজন ছিল ২৬ কেজি। সেটিও ছিল ভুট্টি জাতের গরু। অসুস্থ হয়ে ১৯ অগাস্ট দুই বছর বয়সে মারা যায় রানী।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর ৩৯ দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম ওঠে রানীর। নওগাঁর এক কৃষকের বাড়ি থেকে রানীকে সংগ্রহ করে সাভারের শিকড় অ্যাগ্রো ফার্ম।
অপরদিকে, গাজীপুর শ্রীপুরের রয়েছে আরেক খর্বাকৃতির গরু টুনটুনি। ৩৩ ইঞ্চি লম্বা এই গরুটির উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি। আর ওজন ২২ কেজি। টুনটুনির বয়স ১৪ মাস। সেই হিসেবে রাজশাহীর মাফিনই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ছোট গরু বলে জানান তিনি।
আরবিসি/০৬ নভম্বর/ রোজি