স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলে শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার দিনভর চলে যাচাই-বাছাই। এদিন প্রার্থীরা ব্যাপক উদ্বেগ ও আশা নিয়ে শত শত কর্মী সমর্থকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে ভীড় করে। এতে উপজেলার চত্তর প্রার্থী কর্মী সমর্থকে ভরে উঠে।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮জন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও যাচাই-বাছাইয়ে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যারমধ্যে হড়গ্রাম ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। অপরজন দামকুড়া ইউনিয়নে রেজাউল করিম সরকার বাবু। তিনি সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিটের মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা বা বাতিল হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৬ জন।
সংরক্ষিত আসনে ৮১ জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বয়স কম হওয়ায় পারিলা ইউনিয়নের লাভলি ইয়াসমিন নামের একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ সদস্যপদে ২৫৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যারমধ্যে ৫জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এরা হলেন, হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বয়স কম হওয়ায় রবিউল ইসলাম, পারিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বয়স কম হওয়ায় মোজাম্মেল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাব্বির হোসেন ও তথ্য সমস্যার জন্য ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শফিকুল আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়াও হুজুরীপাড়া ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক মামলা থাকায় নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৪ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ নভেম্বর। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর।
আরবিসি/০৪ নভেম্বর/ রোজি