• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

‘নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার সম্পর্কে জানতে হবে’

Reporter Name / ৮১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : জেলহত্যা দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আ’লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।

সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে তাদের পূর্বসূরী কারা ছিলেন, কতটা ত্যাগী ছিলেন, কেমন ছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে কীভাবে জনসেবা করে গেছেন। এজন্য নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার জীবন, আদর্শ ও ত্যাগকে অনুসরণ ও উপলব্ধি করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশের অদম্য এগিয়ে চলাকে কেউ রুখতে পারবে না।

সভায় মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. আবুল কাশেম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।
সভায় জাতীয় চার নেতার জীবন ও কর্ম তুলে ধরে প্রফেসর ড. আবুল কাশেম বলেন, জাতীয় চার নেতা অসাধারণ প্রতিভা, মেধা, মনন ও প্রজ্ঞা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। তাঁরা ছিলেন ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। তাঁরা কীভাবে জাতীয় চার নেতা হয়ে উঠলেন, কীভাবে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে উঠলেন, এতোটা ত্যাগী কীভাবে হলেন, তাদের বিষয়ে আমাদের জানতে হবে।

সভায় প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে দুটি রাজনীতিক দল সবচেয়ে বেশি প্রাচীন। একটি হলো ভারতের কংগ্রেস, আরেকটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রক্তের দামে এনেছে এদেশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার জন্য বাঙালি যে ত্যাগ-তীতিক্ষা প্রদর্শন করেছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর অনিঃশেষ এই বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, আমরা কাকে অনুসরণ করবো, যারা মানুষের মতো মানুষ তাদেরকে আমরা অনুসরণ করবো। তাঁরা হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ধর্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আতিকুর রহমান কালু মজিবুর রহমান, মোখলেশুর রহমান কচি, কে এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম প্রমুখ।

আরবিসি/০৪ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category