স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সময় আর মাত্র ৬দিন বাকি। আগামী ১১ নভেম্বর তানোরে ৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের যত সময় ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো বেড়ে যাচ্ছে। কে কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, নির্বাচনী অফিস অগ্নিসংযোগ করছে এবং নিজ নিজ দলের নেতা-কর্মীরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে।
প্রতিদিনই ৭ ইউনিয়নের কোথাও না কোথাও ছোট খাটো ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনকে ঘিরে তালন্দ ইউনিয়নের আ’লীগের দলীয় প্রার্থী (নৌকা) আব্দুল কাশেমের নির্বাচনী অফিস অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে চান্দুড়িয়া ও কামারগা ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহীদের নেতা-কর্মীদের মারপিট করেছে নৌকার সমর্থকরা। ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের দুই তিন গ্রুপের নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থাকছে দৌড়ের উপরে।
প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব নিয়ে উপজেলা প্রশাসন পড়েছে বিপাকে। নির্বাচনকে ঘিরে রাত দিন উপজেলায় পৃথক পৃথক ভাবে পুলিশ টহল দিচ্ছে। ৭টি ইউনিয়নের বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ির কোন খবর পাওয়া যায়নি। একাধিক ইউনিয়নের বিএনপির প্রথম সারির নেতারা স্বতস্ত্র প্রার্থী রয়েছে।
তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে হাট কোর্টের রায়ে সরনজাই ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় চেয়ারম্যার প্রার্থী (নৌকা) আব্দুল মালেক এবং বাধাইড় ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজেম হোসেন (ঘোড়া) স্বতন্ত্র প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এনিয়ে ৭টি ইউনিয়নে ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সংরক্ষিত আসনে ৬৮ জন ও সাধারণ সমস্য ২৩৭জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়ছে।
তানোর থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের কারণে নির্বাচনী এলাকায় প্রতি দিনই ছোট খাটো ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি ইউনিয়নে টহল পুলিশ ও বিট পুলিশ অফিসার রয়েছে। আমরা সজাগ রয়েছি নির্বাচন যেন সুষ্ঠ ভাবে হয়।
তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেরা রিটানিং কর্মকর্তা পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ভোটের মাঠে কিছু না কিছু সমস্য হবে। সে সমস্যগুলো আমরা উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠভাবে সমাধান করা হচ্ছে।
আরবিসি/০৪ নভেম্বর/ রোজি