আরবিসি ডেস্ক: দলের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই, নিজের পারফরম্যান্সও খুব ভালো নয়। দল-নেতৃত্ব-ব্যাটিং, সব মিলিয়ে হতাশায় মাখা এক বিশ্বকাপ শেষ হলো মাহমুদউল্লাহর। প্রশ্ন উঠছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশ্ব আসর দিয়ে বিদায়ের ঘটনাও কম নেই। তবে তিনি নিজে জানালেন, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলার কথা ভাবছেন না এখনই।
প্রথম রাউন্ডের এক ম্যাচ হারার পর সুপার টুয়েলভে সব ম্যাচ হেরে শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। আরেকটি বিশ্বকাপের বাকি নেই এক বছরও। দলে ভাঙা-গড়া হবে কিনা, সেই প্রক্রিয়ায় মাহমুদউল্লাহ কতটা থাকবেন, এসবই এখন প্রশ্ন। দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ৮ উইকেটের হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয় বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ও নিজের খেলার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম প্রশ্নই ছিল নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে। নিজের দায় নিয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপার অধিনায়ক ছেড়ে দিলেন নীতি-নির্ধারকদের হাতে। “এটা আসলে নির্ভর করে। এটা তো আমার হাতে নাই। এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বোর্ডেরই । আমার তরফ থেকে আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দলকে আগলে রাখার জন্য। ভালো পারফরম্যান্স আদায় করার জন্য।”
“সম্ভবত আমার নেতৃত্বে কোনো ঘাটতি ছিল, এজন্য হয়তো বা পারফরম্যান্স আদায় করে নিতে পারিনি। আপনার যে প্রশ্ন, আমি এর উত্তর ছেড়ে দিচ্ছি ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। এখানে আমার মন্তব্য করার কিছু নেই।” পরে আরও সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়, গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর মাহমুদউল্লাহ সতীর্থদের বলেন, টেস্টে আর খেলতে চান না। এবার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তিনি তেমন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছেন কিনা।
ছোট উত্তরেই বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়ে দেন তার ভাবনা। “এই মুহূর্তে আমি এমন কোনো চিন্তা করছি না।” বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব ও সুপার টুয়েলভ মিলিয়ে বাংলাদেশে হেরেছে মোট ছয় ম্যাচে। জিতেছে কেবল ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। অধিনায়ক ৮ ইনিংসে ২৮.১৬ গড়ে করেছেন ১৬৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭১।
আরবিসি/০৪ নভেম্বর/ রোজি