স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে পেশাদার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, মামলায় সাংবাদিকদের মারপিট, ক্যামেরা ছিনতাই ও ভাংচুরের চেষ্টা জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক সেলিম জাহাঙ্গীর এবং স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলায় ইতিমধ্যে নগরীর শিরোইল এলাকার ফারুক আহম্মেদ (৪৫), মঠপুকুর এলাকার রেজাউল করিম (৩২) ও বড়বনগ্রামের লিয়াকতকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলো- নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার রাজন (৩৮), মোহনপুর বিদিরপুরের মাজহারুল ইসলাম চপল (৩৫), কাজলা ধরমপুরের আফসারের ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮), মতিহার থানার অক্ট্রয় মােড়ের শাহীনুর রহমান সোনা (৩৬), চারখুটার মোড় এলাকার আবু কাউসার মাখন (৪০), কুমারপাড়ার শামসুল ইসলাম (৩৫), সুমন হোসেন (৩৪), মোন্নাফের মোড়ের সুভাষ (২৫), উপশহরের হারুনুর রশিদ (২৪), টিকাপাড়ার সাগর নোমানী (৩৮) ও মোহনপুরের শাহীন সাগর (২৮)। এছাড়াও মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা ১৮/২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে নগরের শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে কথিত সাংবাদিকরা মানববন্ধন করে। সেখানে খোজ নিতে গেলে পেশাদার সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এসময় লঞ্ছিত করা হয় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ চারজন সাংবাদিককে।
এছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠের রাজশাহীস্থ ফটোসাংবাদিক সেলিম জাহাঙ্গীর ও স্থানীয় সানশাইনের স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদকে বেদম মারধর ও তাদের শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহীর পেশাদার সাংবাদিকরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে দ্রুত অভিযান চালিয়ে কথিত সাংবাদিকদের তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরবিসি/০১ নভেম্বর/ রোজি