স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন অফিস। সোমবার বিকেলে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ছিল। শুনানিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ চারজনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস।
এদিকে, গোদাগাড়ীর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ফলে সেখানেও প্রার্থীশূন্য আওয়ামী লীগ। ফলে রাজশাহীর দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নে থাকছে না আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তবে এই তিন ইউনিয়নেই আছেন আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী।
আপিলের পর বাতিল হয়ে যাওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন তানোরের সরনজাই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবদুল মালেক, গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী জালাল উদ্দিন, গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবদল নেতা নাসিরুদ্দীন ও তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেন হোসাইন। খেলাপি ঋণের কারণে তাঁদের প্রত্যেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন অফিস।
এদিকে, প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাগর আলী, তানোরের কলমা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাপ হোসেন, বাধাইড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপ থাকায় নির্বাচন অফিস তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।
আগামী ১১ নভেম্বর মোট ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে তানোরে সাতটি আর গোদাগাড়ীতে নয়টি ইউপিতে নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৭২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ২৪ জন।
রাজশাহী জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঋণখেলাপি ও বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপের কারণে সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঋণখেলাপি চারজনের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে। তবে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। যাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা উচ্চ আদালতে গিয়ে আপিল করতে পারবেন।
আরবিসি/২৭ অক্টোবর/ রোজি