• বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন

মৌলবাদীদের অর্থনৈতিক বিকাশের পথ রুখে দেওয়ার আহ্বান

Reporter Name / ৮৬ Time View
Update : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে মৌলবাদীদের অর্থনৈতিক বিকাশ ও তা বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগের পথকে চিরতরে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহীর বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিক, সাংবাদিকসহ সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বুধবার সকালে নগরীর আলুপট্টির বঙ্গবন্ধু চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি তোলেন তারা।

সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ‘যদি তুমি মানুষ হও, ধর্মান্ধতা রুখে দাও’ স্লোগানে সন্ত্রাস ও সাংবাদিকতা বিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আকাক্ষা নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল; সেটিকে বিনির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে- এদেশে মৌলবাদীদের অর্থনীতি অত্যন্ত সক্রিয়। তাদের সেই অর্থ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ হচ্ছে। সেখান থেকে যে মুনাফা আসছে সেগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রীতির দেশ গড়তে এগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

স্কুল পর্যায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, বক্তৃতা বা শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না। এটি বাস্তবায়ন করতে হবে স্কুল পর্যায় থেকে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য কর্মসূচি দিতে হবে। পাঠ্য বই, সিলেবাসে তা সংযোজন করতে হবে। সিঙ্গাপুরের মতো দেশে প্রচণ্ড দাঙ্গা, হানাহানি ছিল। তারা সেটি সমাধান করতে পেরেছে। তবে ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তান তা কেন পারেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের কার্যত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বর্তমানে সারাদেশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে। উচিত হবে এসব ফিরিয়ে আনা।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধন থেকে বাহাত্তরের সংবিধান পুন:প্রতিষ্ঠারও দাবি উঠে। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা প্রতিষ্ঠায় ৭২-এর সংবিধানের অপরিহার্যতা অনিস্বীকার্য। এ চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে ৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি-গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙ্গালি জাতীয়বাদ ও সমাজতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেতই সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

বক্তারা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে সামগ্রিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ সফিউদ্দীন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সহসভাপতি মামুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সরিফুজ্জামান জুয়েল, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, ওয়ালিউর রহমান বাবু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, উন্নয়নকর্মি সুব্রত পাল, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান, রাজশাহী টিলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান জনি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ের কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মি দীপেন্দ্রনাথ দাস, সুজনের মহানগর সভাপতি পিয়ার বক্স, সাবেক ছাত্রনেতা তামিম সিরাজি প্রমুখ।

আরবিসি/২০ অক্টোবর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category