রাবি প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর ফলে দীর্ঘ দেড়বছর পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলসমূহ খুলছে রোববার। ইতোমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিে প্রস্তুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র হলের বৈধ শিক্ষার্থীরা হল কার্ড এবং করোনা টিকার প্রমাণপত্রের দুটি ফটোকপি জমা দিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারবে।
হলের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হল প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েন বলেন, হলের প্রতিটি ব্লক নতুন করে রঙ করার পাশাপাশি রিডিং রুম, ক্যান্টিন, ডাইনিং রুম সংস্কার করা হয়েছে। হলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি শিক্ষার্থীরা আসলে হলের নতুন রূপ দেখতে পাবে। এখন শুধু শিক্ষার্থীদের বরণের অপেক্ষায় আমরা।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল প্রাধ্যক্ষ ড. শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী হলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। হলের ভিতরে এবং বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেব।
শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি হলে একটি করে আইসোলেশন রুম তৈরি করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে হলে প্রবেশ করাব। এর আগে দেখা গেছে এক হলের শিক্ষার্থী অন্য হলে অবস্থান করত, তবে এবারে তা কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না। হল খোলাকে কেন্দ্র করে হল মেরামত থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় আমরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৯ মাস পরে হল খুলতে যাচ্ছি। আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরপরেও কোনো প্রস্তুতির ঘাটতি থাকলে আমরা তাৎক্ষণিক সেটা সমাধানের চেষ্টা করব। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে এক ডোজ করোনা টিকা নিয়ে হলে প্রবেশ করতে হবে।
উপ-উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আমরা একটি আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে গ্রহণ করব। দীর্ঘদিন পরে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসছে। শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন করুক। এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
আরবিসি/১৬ অক্টোবর/ রোজি