আরবিসি ডেস্ক : বিএনপি নতুন করে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে বিএনপির শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য প্রতিটি রাত ছিল দুঃস্বপ্নের।
ভয় হতো, এই বুঝি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে, বাড়িঘরে হামলা হলো৷ তারা আবার নতুন করে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে এবং সহযোগিতা করছে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের সকালে তার বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার বিএনপির যে রঙিন খোয়াব, তা অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
আওয়ামী লীগ প্রতিমুহূর্তে দুঃস্বপ্ন দেখছে- এই বুঝি বিএনপি এলো, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গেলো- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা গত একযুগ ধরে নির্বাচন ও রাজপথে এমন কোনো সক্ষমতা দেখাতে পারেনি যে আওয়ামী লীগ দুঃস্বপ্ন দেখবে। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং এদেশের জণগণ, কাজেই দুঃস্বপ্ন বিএনপিই দেখছে৷
বিএনপি আবার তাদের সেই পুরনো রূপে ফিরে আসছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নতুন করে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে।
মেগা প্রকল্প নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা হাওয়া ভবন নামের খাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, তাদের মেগা প্রকল্প দেখলে মনোযন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের শাসনামলে দেশে একটি মেগা প্রকল্প করার সাহস ও সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। কিন্তু তারাই আজ মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচারে নেমেছে। এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ ও ব্যর্থ বিএনপির ঈর্ষাকাতরতা ছাড়া কিছুই নয়।
প্রেসক্লাবে সভা-সমাবেশ আয়োজনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব স্বভাবসুলভভাবে সরকারের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে, তারা নীতিমালা অনুযায়ী হলরুম ভাড়া দেন, এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত, অথচ বিএনপি নেতারা সেখানেও সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। আসলে বিএনপি নেতারা অন্ধ বলেই সব কিছুতেই অন্ধকার দেখতে পান।
দোষারোপের রাজনীতির দুষ্টচক্রে বিএনপি আবর্তিত হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ থেকে তারা বের হতে পারছে না।
আরবিসি/১৫ অক্টোবর/ রোজি