আরবিসি ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় নদীবন্দরে তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত।
আবহাওয়া অফিস মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
লঘুচাপটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হলেও সাগর স্বাভাবিক রয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমি বায়ু দেশের অন্যত্র কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার।
শনিবার নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নেওয়ায় আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজশাহীতে, ২৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরবিসি/১৪ অক্টোবর/ রোজি