• বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ হিসাব জমা দিতে হবে, মন্ত্রিপরিষদের নীতিমালা জারি পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বুধবার নাটোরে পাওনা ২০০ টাকা চাওয়ায় দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ রাজশাহীতে এক দফা দাবিতে নার্সদের কর্মবিরতি দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনারা সুর পাল্টে কথা বলছেন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ডা. জাহিদ রডে ঝুলছিল আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ, স্ত্রীর দাবি ‘হত্যা’ জানাজা থেকে ফেরার পথে যুবককে গলা কেটে হত্যা মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

করোনার উৎসের খোঁজে ডব্লিউএইচও’র শেষ চেষ্টা

Reporter Name / ৭৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : করোনাভাইরাস কোথা থেকে এলো, তা জানতে আবার বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে দল গঠন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, তাদের গঠন করা নতুন এই টাস্কফোর্সটি কোভিড-১৯ এর উৎস খোঁজার সর্বশেষ চেষ্টা হতে পারে। একইসঙ্গে চীনকে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে তারা।

করোনাভাইরাস কীভাবে এলো তা নিয়ে এতদিন ধরে কম আলোচনা হয়নি। নানা ধরনের তত্ত্ব বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ বলেছেন চীনের উহানে কাঁচা মাংসের বাজার থেকে, কেউ বলেছেন বাদুর থেকে, আবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অনেকে অভিযোগ করেছেন, চীনের গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। চীন অবশ্য এই দাবি বারবার অস্বীকার করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে বিজ্ঞানীদের একটি দল গঠন করেছিল। তারা চীনে সফর করলেও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি ভাইরাসের উৎপত্তি কীভাবে হলো। তারা চীনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে, সম্ভবত বাদুর থেকেই এই ভাইরাস এসেছে। তবে এনিয়ে আরও গবেষণা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রও বিশেষজ্ঞদের দল গঠন করেছিল একই লক্ষ্য নিয়ে।

বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবার ২৬ জন বিজ্ঞানীর একটি দল গঠন করেছে, যারা করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কীভাবে হলো, সেটি জানার চেষ্টা করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার উৎপত্তি জানার এটিই শেষ সুযোগ। আর তাই চীনকে প্রথম থেকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য আবেদনও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মারিয়া কারখভ বলেছেন, আরও ডজন তিনেক সমীক্ষা চালাতে হতে পারে। উহানে যারা প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করাও খুব জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জার্নালে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মারিয়া বলেছেন, ‘সেই সময় রক্ত পরীক্ষার স্যাম্পল, প্রথম দিকের রোগীদের সম্পর্কে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা জরুরি। তার মতে, এটিই আমাদের করোনার উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো সুযোগ এবং সম্ভবত শেষ সুযোগ।’

অউঠঊজঞওঝঊগঊঘঞ

ডব্লিউএইচও’র এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও চীন দ্রুতই দিয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের দূত চেন শু বলেছেন, এর আগে দু’বার চীনে দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি যৌথ রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে।

তার ভাষায়, আর কোনো দলের চীনে যাওয়ার দরকার নেই। বরং অন্য দেশে দল পাঠাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মতে, কোনো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যেন দল গঠন করা না হয়। বিজ্ঞানের স্বার্থে, বিজ্ঞানের জন্য যেন দল গঠন করা হয়।

আরবিসি/১৪ অক্টোবর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category