• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

দুদকের মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

Reporter Name / ১৫২ Time View
Update : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (৬ অক্টেবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এবং একইসঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির নির্দেশ দেন।

আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দুদক পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যে অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমা রাখা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

গত বছরের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

আরবিসি/০৬ অক্টোবর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category