• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

মেয়র লিটনের তিনবছরে উন্নয়নে দৃশ্যমান রাজশাহী

Reporter Name / ১১৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১
default

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি স্বপ্ন দ্যাখেন। রাজশাহী নগরবাসীকে স্বপ্ন দেখাতে ভালোবাসেন। তিনি উন্নয়নের ফেরিওয়ালা। উন্নয়নের কাজে পসরা সাজিয়ে তিনি রাজশাহী মহানগরীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আলোর গতিতে। যেদিকে চোখ যায় তার উন্নয়নের ছোঁয়ায় শুভ্র হয়ে উঠছে মহানগরী। সাধারণ মানুষের প্রাণের প্রিয় নেতার রাসিক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছরপূর্তি আজ।

তিন বছরেই তার বাস্তবায়ন দেখছেন মহানগরবাসী। মহামারি করোনা মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে রাজশাহীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা। উন্নয়নের ফেরিওয়ালার সামান্য কিছু উন্নয়ন তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। ১৮৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় হতে ছোটবনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে চৌদ্দপায়া রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমমুখি ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক, সড়কের দুই পাশে ফুটপাথ, রেলওয়ে ক্রসিং-এ ৩২৭ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘের ১টি ফ্লাইওভার, ১টি ব্রীজ, ৮টি কালভার্ট, মিডিয়ান ও ট্রাফিক কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

মহানগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত চার দশমিক দুই কিলোমিটার সড়কটি ৩০ ফুট থেকে ৮০ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে ১০ ফুট চওড়া ফুটপাথ, রাস্তার দক্ষিণ পাশে আট ফুট বাইসাইকেল লেন, উভয়পাশে আরসিসি ড্রেন ও দৃষ্টিনন্দন আইল্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে।

১২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে রাণীবাজার মোড় হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যন্ত সরু সড়কটি প্রশস্তকরণ করা হয়েছে।

১৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার প্রাইমারী, ১৯ দশমিক ২৯ কিলোমিটার সেকেন্ডারি এবং ৬৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি নর্দমা নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নর্দমার কাঁদামাটি অপসারণের নিমিত্তে প্রকল্পভূক্ত ৯টি প্রাইমারি নর্দমার পাশে মোট ৮.৬৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

১৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে আলুপট্টি মোড় হতে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার বর্তমান সড়কটির প্রশস্ত করে ৪ লেন সড়কে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ১৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহে ক্ষতিগ্রস্থ ও নতুন কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহের প্রান্তিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কার্পেটিং, সিসি ও নর্দমা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর বন্ধগেট হতে সিটি হাট পর্যন্ত বর্তমান দুইলেন সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্ধগেট হতে সিটি হাট পর্যন্ত অযান্ত্রিক লেনসহ চারলেন সড়ক ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে। ৩ দশমিক ৫৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি ৮০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মোহনপুর রেলক্রসিং এর অবশিষ্ট দুই লেন ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। ফ্লাইওভার নির্মাণের সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অবশিষ্ট দুই লেন ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২০৩ মিটার প্রস্থ ফুটপাতসহ ৯.৪০ মিটার, থাকবে ৯টি স্প্যান।

নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: ২৯৩১ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ও নতুন রাস্তা এবং নর্দমা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের সকল ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে দ্রুততার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নির্ধারিত মেয়াদ জুন, ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মহানগরীকে নতুন রূপে দেখা যাবে।
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস ও প্লান্ট নির্মাণ: সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্বার্থে মহানগরীতে ০৫টি আধুনিক সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং আরো ০৬টি সেকেন্ডারী ট্রান্সফার ষ্টেশন নির্মানের জন্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিরতিহীন ট্রেন চালু: মহানগরবাসী দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন ট্রেন চালু। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতীহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূরণ হয় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের অন্যতম একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে রাজশাহীতে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে, বিসিক শিল্পনগরী-২, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও চামড়া শিল্পপার্ক। এই তিনটি শিল্পাঞ্চলে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের প্লট বরাদ্দ প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহীতে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ স্থাপন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের অন্যতম একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ২০২০ সালের ৪ জুলাই পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কেচুয়াতৈল এলাকায় রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের ৫০ একর ভূমির উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র।
রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন ব্যয় ১০৫ কোটি টাকা। বাকি ৬৭ কোটি টাকায় শিল্প স্থাপনের সকল অবকাঠামো নির্মাণ, রাস্তা, ড্রেন, কালর্ভাট নির্মাণ, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, সীমানা প্রাচীর, পাম্প হাউজিং, অফিস, পানি সংরক্ষের জন্য পুকুর ইত্যাদি স্থাপন করা হচ্ছে।

সোনাদিঘির উন্নয়ন: মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘি নতুন রূপ পাচ্ছে। সোনাদিঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদিঘীকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

আধুনিক কসাইখানা স্থাপন: মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে কয়েকটি ছোট আকারে কসাইখানা/জবেহখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে কসাইখানা নির্মাণ সম্পন্ন ও কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও আরো ৩টি স্থানে যথা-১ লক্ষীপুর বাজার, ২ শালবাগান বাজার ও ৩ কোর্ট বাজারে ছোট আকারে কসাইখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে লাইভস্টোক ডেইরি ডেভলোপমেন্ট প্রোজেক্ট এর মাধ্যমে তালাইমারী, কাজলা এলাকায় প্রায় এক জায়গার উপর একটি আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণ: মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছোটবনগ্রামে অবস্থিত সিটি পার্ককে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়ভাবে তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। গত ২০ মার্চ শিশু পার্কটির উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়। পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। শিশু পার্কটির উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ: মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগরীর সিএন্ডবি মোড়ে ২৪.৫ কাঠা জায়গার উপরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণের কাজ চলেছে। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হবে। এটি উচ্চতা হবে ৬০ ফুট।

পরিবেশ উন্নয়ন কার্যক্রম: পরিবেশ উন্নয়নে খ্যাতি অর্জন করেছে রাজশাহী। নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর, দৃষ্টিনন্দন, সবুজ, উন্নত ও বাসযোগ্য পরিবেশবান্ধব শহর পেয়েছে মহানগরবাসী। নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাথে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্য্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজ হয়েছে প্রায় ৩০ কি.মি. রাস্তার সড়ক বিভাজন ও চত্বর। মহানগরীর বারো রাস্তা মোড়, মোল্লাপাড়া গোল চত্বর, রাজিব চত্বর, ভদ্রা মোড়, তালাইমারি মোড় ও রানী বাজার ঢোপকল চত্বরসহ বিভিন্ন মোড় ও চত্বর পরিকল্পিতভাবে ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। রাজশাহী নগরীর বাহারি ফুলের আকর্ষণীয় রঙে পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে।

আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন: মহানগরীর আলোকায়ন ব্যবস্থা আরো আধুনিকায়ন, রাতে নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে মহানগরীর ১৫টি চত্বরে ১৬টি আধুনিক মানের সুুউচ্চ বিদ্যুৎ লাইটের পোল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা।

মহানগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং হতে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত সড়ক দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতি সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আলিফ লাম মীম ভাটা মোড় হতে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে চৌদ্দপায়া রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক এবং উপশহর মোড় হতে সোনাদিঘী মোড় ও মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যস্ত সড়কটিতে আধুনিক সড়ক বাতি সংযোজনসহ আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। আগামীতে নির্মিত ও প্রশস্তকৃত সড়কও আলোকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন: কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট শাখার কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফান্ড হতে গত অর্থ বছরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ৩০৭টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা, ব্যবসা, প্রশিক্ষণ ও পুষ্টি সহায়তা বাবদ ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। উপকার ভোগী পরিবারের সংখ্যা ১৯৭৬টি।

প্রান্তিক পর্যায়ে নাগরিক সুবিধা প্রদানে ১৪ হাজার মিটার ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। ৪৭৭টি টিউবয়েল ও টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয়মূল্য ৩ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ৮২০ টাকা। উপকার ভোগী পরিবারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৬৬টি। সি.ডি.সির সদস্যের মাঝে ৬ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফান্ড হতে ১০০টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ১৪ হাজার ৯০০ মিটার ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। স্থাপন করা হবে ৭২টি টিউবয়েল ও টয়লেট।

পিপিপির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ: পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে উদ্যোগী সংস্থার অর্থায়নে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কার্যক্রম অগ্রগতি হয়েছে।সোনাদিঘী ১৬ তলা ‘সিটি সেন্টার’ এর কাজ শেষ পর্যায়ে। আটতলা ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’ অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে ও আটতলা ‘দারুচিনি প্লাজা’ নির্মাণ কাজ চলছে। মুড়িপট্টিতে ১০তলা বৈশাখী মার্কেটের অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। ৫তলা বিলসিমলা সুপার মার্কেটের অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে সিমলা মার্কেটের সম্পূর্ণ এবং বৈশাখী বাজার ও স্বপ্নচূড়া প্লাজার শেয়ার আংশিক হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরবিসি/০৫ অক্টোবর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category