স্টাফ রিপোর্টার : ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ সরকারের এমন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এবার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ৯ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন একটি করে বাড়ি। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘বীর নিবাস’।
দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে যে ৯ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীর নিবাস তারা হলেন, কিশমত গনকৈড় ইউনিয়নের গুনাজিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী নারায়ন চন্দ্র সরকার, দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকার বাসাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম উদ্দিন নাছিম, পানানগর ইউনিয়নের পানানগর গ্রামের মজিবুর রহমান, মাড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আ,ও,ম নুরুল আলম হিরু মাস্টার, একই ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল ইসলাম, দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান গাজী, আনোলিয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক মন্ডল, জয়নগর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সেকেন্দার আলীর পরিবার ও ঝালুকা ইউনিয়নের গৌরিহার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জনাব আলীর পরিবার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি বোখারী বলেন, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। আমাদের মধ্যে অনেক সহযোদ্ধারা আছেন যাদের জরাজীর্ণ ঘর-বাড়ি। একটু স্বাচ্ছন্দ ভাবে বসবাস করার মত ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম দফায় আমাদের উপজেলায় ৯ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা আশাকরি আগামীতে পর্যায়ক্রমে সকল অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করে দিবেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন জানান, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব ভিটায় পাকা দুটি বেডরুম, দুটি টয়লেট, একটি কিচেন, একটি ডাইনিং রুম ও একটি ড্রয়িং রুম থাকছে। একতলা বাড়িটির আয়তন হবে ৬৩৫ বর্গফুট। প্রতিটি আবাসন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, ইতিমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। শীঘ্রই বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ৯ টি আবাসন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৯২ হাজার ৫৬২ টাকা।
দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা-বিরাঙ্গনা-শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপ ও উপহার’ হিসেবে এই প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
আরবিসি/০৪ অক্টোবর/ রোজি