স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ব্যাংকার স্বামীর অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তান নিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন কর্মজীবী স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারী ও তার সন্তান। রবিবার দুপুরে রাজশাহীর মানবাধিকার সংগঠন ‘পরিবর্তন’ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান ভুক্তভুগি নারী।
তিনি বলেন, ‘আমি কর্মজীবী নারী। আমার দুই সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। আমাদের সহায়তা করুন। আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
রাজশাহী সোনালী ব্যাংক গ্রেটার রোড শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার তাসমীন এহসান বলেন, তার স্বামী বর্তমানে অগ্রনী ব্যাংক আগ্রাবাদ সার্কেল চট্টগ্রাম শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এসএম মশিউর রহমানের নির্যাতনের শিকার।
ভুক্তভুগি এই নারী জানান, তার স্বামী গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমাকে বেদম মারপিট করে। কাপড় আইরন করা ইসতিরি দিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে দেন। দুই দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে তার স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তার রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় যে বাড়িতে বসবাস করেন সেখানে নানাভাবে হয়রানি করছে। বাড়ি বিক্রি করে দেয়া হবে বলে লোক পাঠাচ্ছে।
তিনি জানান, তার স্বামী এখন অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছেন। তাকে তালাক দেয়ার আগেই সে এই বিয়ে করেন। তার নারী ঘটিত কেলেংকারির বিষয়টি অনেকবার ঘটেছে। তার অনেক নারী বন্ধু ছিল। তাদের সঙ্গে তার শারিরিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন ওই নারী। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে অশান্তি চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, তার বিশ^বিদ্যালয় পড়ু–য়া এক মেয়ে এবং স্কুল পড়ুয়া ছেলে রয়েছে। তার স্বামী অগ্রনী ব্যাংক আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এসএম মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার বিষয়ে তার কর্মস্থলে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি এবং তার দুই সন্তানের নিরাপত্তার জন্য দাবি জানান। একইসঙ্গে আসামীর কর্মস্থল অগ্রনী ব্যাংক থেকে তাকে সাসপেন্ড করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এসএম মশিউর রহমান বলেন, তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। গত ১৭ মার্চ তার তালাক কার্যকর হয়েছে। তার সন্তানেরা যেহেতু তার বাড়িতে রয়েছে সে কারনে তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। তিনি কোনো ধরনের হুমকি থামকি দেননি বলে জানান।
আরবিসি/০৩ অক্টোবর/ রোজি