স্টাফ রিপোর্টার : সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের অন্তর্গত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। রবিবার রাজশাহী সেনানিবাসে শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে সামরিক রীতি অনুযায়ী রেজিমেন্ট অব দি মিলেনিয়াম এর অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান।
প্যারেড স্কয়্যারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে অভিবাদন জানানো হয় এবং ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এর পর ইনফ্যান্টি রেজিমেন্টর জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাপ্রধানকে ইনফ্যান্টি রেজিমেন্ট কর্নেল র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
পরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজেমেন্টর সকল সদস্যের প্রতি আহবায় জানান।
তিনি বলেন, আজকের অভিষেকের মাধ্যমে আমি আরও গভীরভাবে এই রেজিমেন্টের সাথে সংপৃক্ত হতে পারলাম। একজন পদাতিক অফিসার হিসেবে চাকরি জীবনে আমি সর্বাদয়ি পল্টন, ব্রিগেড ও ডিভিশনের উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তাই কর্নেল কমান্ডার হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর আমার সার্বক্ষনিক ও ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টা হবে রেজিমেন্ট অব দা মিলেলিয়ামের সকল সদস্যদের নিয়ে রেজিমেন্টের উন্নয়ন ও নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য নিজের প্রস্তত করা।
তিনি বলেন, কর্নেল অব রেজিমেন্ট হিসেবে আমার সার্বক্ষনিক প্রচেষ্টা থাকবে পদাতিক কোরের চলমান আধুনিকায়ন এবং একাকি আরও তরান্বিত করা। নতুন সামরিক সরঞ্জাম সংযোযিত করে আরও উদ্যোমি পদাতিক বাহিনী গড়ে তোলা আমার লক্ষ হবে। আমার উপর অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনকালে রেজিমেন্টের জন্য কল্যাণকর যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। সে জন্য রেজিমেন্টর অগ্রযাত্রাকে যুগোপযোগি করার লক্ষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সেনা প্রধান।
পরে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অদ্ভুৎসর্গকারী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘বীর গৌরব’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ১৬তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরবিসি/০৩ অক্টোবর/ রোজি