স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড নিতে সবশ্রেণির নারী পুরুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। শনিবার সকাল থেকে দিনভর এই ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে থেকে অনেকে তাদের কাঙ্খিত কার্ড নিতে পারেননি। তাদের কার্ড পরবর্তিতে ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা।
জানা যায়, শনিবার বাগমারার সংসদ সদস্য এনামুল হক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তবে শনিবার ভবানীগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে স্মার্ট কার্ড নিতে এসে অনেকে হয়রানীর শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেককে কার্ড না পেয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। পৌর সভার হেদায়েতীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আজাদ হোসেন জানান, তিনি শনিবার সকালে ভবানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে পারেননি। তার হাতের ছাপ ও চোখের আইরিস নেওয়ার পর তাকে জানানো হয় তার কার্ডটি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। একই ভাবে কার্ড না পেয়ে ফিরে গেছেন ভবানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মতিন। তাকেও হাতের ছাপ ও চোখের আইরিস নেওয়ার পর তাকে জানানো হয় তার কার্ডটি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এভাবে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি শনিবার ভবানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে একে কার্ড না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার কার্ড নিতে এসে অনেকে হয়রানী শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
ভবানীগঞ্জের পপি খাতুন জানান, দুইদিন ঘুরেও তিনি কার্ড নিতে পারেননি। মাঠে ব্যাপক ভিড় । দীর্ঘক্ষন লাইনে থেকেও কার্ড পাননি। আবার অনেকে ভিতরে ঢুকে সিরিয়াল না মেনে কার্ড নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তাফা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে বাগমারায় কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। এখানে মোট ২লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৯৩ টি কার্ড বিতরণ করা হবে।
উপজেলার মোট ৫৪ টি ভ্যেনু থেকে এই কার্ড বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, যাদের কার্ড পাওয়া যায়নি তাদের একটি ফরম পুরণ করতে হবে। ফরমটি আমরাই অফিস থেকে সরবরাহ করব। ফরম পূরণ করে ঢাকায় পাঠানোর পরপরই তাদের স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
আরবিসি/০২ অক্টোবর/ রোজি