আরবিসি ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করতে বলা হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চেম্বার বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। অপরদিকে রিট পিটিশনারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসান এমএস আজিম।
এর আগে গত ৫ মে রাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের ১৩৮ শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে কনজিউমার ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের চৌধুরী রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহানকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ১৩৮ জন নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চাওয়া হয়। রিটের ওপর গত ৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসাইন মোল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। হাইকোর্ট তার আদেশে দুদক চেয়ারম্যানকে রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে গত ৫ মে ১৩৮ জন নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে একটি সম্পূরক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আরবিসি/২৬ সেপ্টেম্বর/ রোজি