স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে একদিনে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান।
এদের মধ্যে চারজন করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনা নেগেটিভ হয়ে মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে কোনো রোগী মৃত্যুর তথ্য নেই। তবে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর একজন এবং পাবনার একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেকজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক বলেন, গত এক দিনে দুজন করে মারা গেছেন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মারা গেছেন। এদিকে ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১১৬ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১১৩।
বর্তমানে রাজশাহীর ৫৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৭ জন, নাটোরের ১২ জন, নওগাঁর ১১ জন, পাবনার ১৪ জন, কুষ্টিয়ার দুজন, চুয়াডাঙ্গার তিনজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩১ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৮ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২৭ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৯ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে আটজনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৫৬ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ছয়জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং নাটোরের ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ২৪ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে করোনায় ৪২ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৮৯ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
আরবিসি/২৪ সেপ্টেম্বর/ রোজি