• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

ইয়াবার পথেই আসছে আইস

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ইয়াবার মতই মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ‘মেথামফিটামিন’ মাদক ‘আইস’ বা ‘ক্রিস্টাল মেথ’; আর এ কাজেও রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভাষ্য।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলছেন, ইয়াবা এবং আইস- দুই মাদকেরই মূল উপাদান মেথামফিটামিন। তবে ইয়াবার চেয়ে আইস ২০ থেকে ২৫ গুণ বেশি শক্তিশালী মাদক, দামও অনেক বেশি।

ফলে বেশি লাভের আশায় মাদক কারবারিরা এখন আইসের ব্যবসায় ঝুঁকছে। আর দাম বেশি হওয়ায় শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণরাই এ মাদকে আসক্ত হচ্ছে।

বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ঢাকার কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৬০ গ্রাম ‘আইস’ এবং ১২০০ ইয়াবা।

শুক্রবার অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ে (উত্তর) এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রথম আইস ধরা পড়েছিল ২০০৭ সালে। তারপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১৯ সালে আবার এ মাদক আসতে শুরু করে বাংলাদেশে। তার পর থেকেই এর প্রসার ঘটেছে।

“ইয়াবা যেভাবে আসে আইস সেভাবেই আসে। রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে আসে। গভীর সমুদ্রে হাতবদল হয়। ইয়াবা ব্যবসার যারা হোতা, তারা এই আইস ব্যবসাটাকে ছড়িয়ে দেওযার চেষ্টা করছে।”

বাংলাদেশে শুরুর দিকে মাদক হিসেবে আফিম ও গাঁজাই চলত। গত শতকের আশির দশকে সেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়। ওই সময়ে কোডিন মিশ্রিত কফ সিরাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর চোরাই পথে আসা ফেনসিডিল হয়ে ওঠে মাদকসেবীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়।

প্রায় দুই দশক হলো ফেনসিডিলের জায়গা দখল করেছে ইয়াবা। ফেনসিডিল মূলত আসত ভারত থেকে, আর ইয়াবা আসছে মিয়ানমার থেকে।

২০১৮ সালে মূলত ইয়াবা ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে বড় অভিযানে নেমেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে কয়েকশ সন্দেহভাজন।

বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ওই ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশকে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হলেও সেই অভিযানেও ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবা ধরার খবর আসছে। সেই সঙ্গে এখন উদ্ধার হচ্ছে ‘এলএসডি’, ‘আইসের’ মতো মাদক নিয়ে, যেগুলো আগে এ দেশে কম প্রচলিত ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইস অত্যন্ত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নেশা সৃষ্টিকারী মাদক। নেওয়ার পর মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। হিংস্র আচরণ করেন সেবনকারী। অতিরিক্ত সেবনকারী আত্মহত্যা করতে পারে। অন্য কাউকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

এই মাদক সেবনকারীর কিডনি নিস্ক্রয় হয়ে যায়, দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়, কোষ্টকাঠিন্যসহ নানা ধরনের জটিলতা হয় বলেও জানান ফজলুর রহমান।

“ইয়াবা এবং আইসের উপাদান এক হলেও ইয়াবার চেয়ে আইস ২০ থেকে ২৫ গুণ বেশি শক্তিশালী। ফলে সেবনকারীর ক্ষতি খুব দ্রুত হয়।

আরবিসি/২৪ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category