• সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

Reporter Name / ১১২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রাসেলের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

 

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিনই মামলাটিতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর তার স্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে রাসেলকে আজ আবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধানমন্ডি থানায় ২১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেক মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড নামুঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলে এজাহার সূত্রে জানা যায়।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। শিশুদের নানা পণ্যের ব্যবসা ছেড়ে সামান্য পুঁজি নিয়ে রাসেল ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংস্থার এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে গ্রেফতার রাসেল র‍্যাবকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

আরবিসি/২৩ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category