• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-কুয়েত রোডম্যাপ

Reporter Name / ১৩৪ Time View
Update : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি রোডম্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও কুয়েত।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক সময় দুপুরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল সাবাহের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।

লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক হয়। কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক দিনের পুরনো সম্পর্ক। উনি (কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশ এবং কুয়েত একটা রোডম্যাপ তৈরি করবে, অ্যাকশনেবল প্রোগ্রাম তৈরি করবে। যাতে আমাদের সম্পর্ক আরও অধিকতর শক্তিশালী হয় এবং বিভিন্ন রকম প্রজেক্ট হাতে নেওয়া যায়।

দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খুবই ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করা হবে। আমাদের আলোচনা করতে হবে যে কি কি ক্ষেত্রে আমরা তাদের সাহায্য চাইবো এবং তারা আজকে বলেছে কোন কোন ক্ষেত্রে তারা আমাদের সাহায্য চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই কুয়েত ফান্ড থেকে অনেকগুলো প্রজেক্ট দেশে চালিয়েছি। আমরা আরও চাই এবং তারাও আগ্রহী। তারা রিফাইনারি করার জন্য বাংলাদেশে উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অবশ্যই আমরা তাদের জায়গা দিয়ে দেব। সুতরাং আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কুয়েতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে যিনি আমির হন তিনি ঢাকায় এসে ওআইসি সম্মেলনে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে কুয়েতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।

কুয়েত একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কুয়েতের অর্থায়নে পাঁচটি বড় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা সেগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, আরও বড় চাই। রিফাইনারি করার জন্য তাদের থেকে প্রাথমিক একটা প্রস্তাব এসেছে। এখন এটা আরও সুনির্দিষ্ট হবে।

কুয়েত ফান্ড সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেন, কুয়েত ফান্ডটি বাংলাদেশে প্রথম দফায় ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে। দ্বিতীয় দফার যে ফান্ড, যেটা ১০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে, সেটার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। প্রথম দফার যে ৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প সেটার সবগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।

কুয়েত সেনাবাহিনীতে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’ নামে একটা কন্টিনজেন্ট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে ইরাক যখন কুয়েত আক্রমণ করে, কুয়েতের বর্ডারে যে মাইনগুলো তখন ছিল সেগুলো সরানোতে এখনো পর্যন্ত যদিও কুয়েত সেনাবাহিনীর নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চূড়ান্তভাবে সেটাকে আরেকবার দেখেছে। তারপর এই এলাকা উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর এই অবদানের কথা তারা পুনঃব্যক্ত করেছেন বলেও জানান মো.শাহরিয়ার আলম।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ষ্টিফেন লোফভেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

আরবিসি/২২ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category