আরবিসি ডেস্ক : র্যাংকিংয়ে সেরা ৮ দলের হয়ে সরাসরি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় আফগানিস্তান। টুর্নামেন্ট শুরু হতে আর এক মাসও নেই, এমন সময়ে গুঞ্জন উঠেছে এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে পারে তারা।
পাল্টে গেছে আফগানিস্তানের জনজীবন। গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তারা। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গনেও। মেয়েদের খেলাধুলায় নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সম্প্রতি ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে আইপিএলের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে ঢুকে জোরপূর্বক প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারিকে বরখাস্ত করে নাসিব জাদরানকে বসিয়েছে তালেবানরা। আইসিসি এসব বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানাল, তালেবান পতাকাতলে খেললে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করা হবে আফগানিস্তানকে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ১৬টি অংশগ্রহণকারী দলকে তারা কোন পতাকার অধীনে খেলবে, তা জমা দিতে বলেছে আইসিসি। তাতে প্রশ্ন উঠেছে, আফগানিস্তান ক্রিকেট দল তাদের দেশের পতাকা জমা দিতে পারবে কি না? ধারণা করা হচ্ছে, তালেবান পতাকার অধীনে তাদের খেলতে হতে পারে। তা-ই যদি হয়, তাহলে বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না তারা। অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শিগগিরই বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা একটি জরুরি বৈঠকে বসবে।
আফগানিস্তান নিষিদ্ধ হলে বিশ্বকাপে তাদের স্থলাভিষিক্ত কোন দল হবে, তা এখনও ভাবেনি আইসিসি। দেশটির সদস্য হিসেবে থাকার বৈধতা যাচাইয়েও নভেম্বরে তারা আলোচনায় বসবে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, তাদের পূর্ণ সদস্যভুক্ত প্রত্যেক দেশে একটি নারী জাতীয় দল থাকতে হবে। কিন্তু তালেবানরা মেয়েদেরকে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করেছে।
আইসিসির ১২টি পূর্ণ সদস্যের একটি আফগানিস্তান। তাদের নিষিদ্ধ করতে ১৭ বোর্ড সদস্যের মধ্যে ১২টি ভোট বিরুদ্ধে যেতে হবে।
আরবিসি/২২ সেপ্টেম্বর/ রোজি