আরবিসি ডেস্ক : চলতি বছরের শুরু থেকেই ইলিশের বাজার অনেকটা চড়া। গেল বছরের তুলনায় বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছের রাজা ইলিশ। তবে এবার ভারতে ইলিশ রফতানির খবরে আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে মৌসুমি এ মাছের বাজারে।
কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ইলিশের দাম বেড়েছে প্রায় একশ থেকে দেড়শ টাকা। এছাড়া পর্যাপ্ত সরবরাহও নেই ইলিশের। বিক্রেতাদের আর ক্রেতা ডাকতে হচ্ছে না। ক্রেতারাই আগ্রহ নিয়ে দাম শুনে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাছের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, মূলত ভারতে রফতানির কারণে ইলিশের দাম আরেক দফা বেড়ে গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর উত্তরার জহুরা মার্কেটে দেখা যায়, মাছের দোকানগুলোতে ইলিশের পরিমাণ খুবই অল্প। দুই-একজন ক্রেতা দাম জানতে চাইছেন। কেউ কেউ দামাদামি করছেন। আবার কেউ হঠাৎ ইলিশের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গেলেন।
প্রায় ১২ বছরের ইলিশ বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে মাছ ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার শুরু থেকেই ইলিশের দাম বাড়তি। এ সময়ে ইলিশের দাম এত বেশি থাকে না। এবার নাকি ভারতে ইলিশ রফতানি হচ্ছে। এ কারণে হয়ত বাজারে ইলিশ কম। আমরা পাইকারি বাজারে বেশি কিনতে পারি নাই।
তিনি জানান, পাইকারি বাজারে গিয়ে খুব বেশি ইলিশ কিনতে পারেননি আজ। দামও বেশি চেয়েছে পাইকাররা। বাধ্য হয়ে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রুবেল হোসেন নামের এক ক্রেতা ইলিশের দাম শুনে অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। আলাপকালে তিনি বলেন, অবশ্যই ভারতে রফতানির সংবাদে ইলিশের দাম গত দুই দিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের ইলিশের কাছে যাওয়াই এখন কঠিন পড়েছে। নিজেদের চাহিদা না মিটিয়ে এভাবে ভারতে ইলিশ রফতানি করা ঠিক নয়।
ইলিশ বিক্রেতারা জানান, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকায়, যা কয়েক দিন আগে ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এক কেজির নিচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। তবে বাজারভেদে দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
প্রসঙ্গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতে ২ হাজার ৮০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে রফতানির এ অনুমোদন দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরবিসি/২১ সেপ্পেম্বর/ রোজি