• সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

ভারি বর্ষণের পর রাস্তায় ধস

Reporter Name / ৯২ Time View
Update : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে গত শনিবার প্রবল ভারি বর্ষণে মিলিক-বাগান বাড়ি আঞ্চলিক রাস্তা কেটে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। সেই সাথে কানসাট মিলিক-বাগান বাড়ি ঈদগাহের প্রায় ৩০-৩৫ ফিট প্রস্থ ও ৬০-৬৫ ফিট দৈঘ্যের মাটি কেটে নদীর গর্ভে চলে গেছে। এর কারণে ১০-১৫ ফিট গর্তে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবহন নিয়ে ঝুঁকিপূণ অবস্থা রাস্তায় চলাচল করছেন পথচারিরা।

ভারি বর্ষণের কারণে রাস্তা ও ঈদগাহের মাটি কেটে যাওয়ায় ঈদগাক সংলগ্ন ৩টি বাড়ি চরম ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় ওই বাড়ি ৩টি ভেযে পড়ে নদীর গর্ভে চলে যেতে পাওে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেমজিনে দেখা গেছে, গত শনিবারের ভারি বৃষ্টির ফলে আমাদের পাঁকা রাস্তা কেটে গেছে। সেই সাথে রাস্তার পাশের তিনটি বাড়ি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন মর্হুতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বছর থেকে ভারি বর্ষণের কারণে ঈদগাহের মাটি কাটতে থাকে কিন্তু ঈদগাহ কমিটি ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের কোনো উদ্যোগে গ্রহণ করেনি। কিন্তু ঈদগাহ কমিটি সরকারে ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছিলো এক বছর আগে। তখন ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেয়া হলে ঈদগাক কমিটির লোকজন চেয়ারম্যানের ডাকে সারা দেয়নি।

স্থানীয়রা আরো জানান, গত বছর ইউপি চেয়ারম্যান ঈদগাহ কমিটিকে ড্রেন মেরামতের জন্য সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঈদগাহ কমিটি গ্রহণ না করে ড্রেন বন্ধ করে দেয়া বৃষ্টিসহ গ্রামের সব বাড়ির পানি নিষ্কাসন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসী এক প্রকার পানি বন্ধ অবস্থায় ছিলেন। পরবর্তীতে রাতের আধারে কে বা কারা কিংবা পানির গতির কারণে বন্ধ থাকা পটেকশন ওয়ার ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামের বন্ধ পানি নদীতে যাই।

এদিকে, সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার বেহাল দশা হওয়ায় এবং পথাচারিদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাল পতাকা দিয়ে সর্তক সংকেত টাঙিয়ে দেন। সেই সাথে বিভিন্ন যানবহন চালকসহ সাধারণ পথাচারিদের সর্তক সংকেত দিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথোপকথন করছেন।
এদিকে, কানসাট মিলিক বাগান বাগান বাড়ি ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও সদস্য মজবুল আক্তার ভদু জানান, ড্রেনেজ সংস্কারের জন্য এক বছর আগে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হলেও তিনি সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করিনি। ফলে আমাদের ঈদগাহের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

তবে, চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের বলেছিলেন বাজেট পেলে সংস্কার করে দেয়ার আশ^াস দেন। তারা আরো বলেন, কানসাট বাগান বাড়ি এলাকাটি অনেক বড় এলাকা নিয়ে। শুধু বৃষ্টির পানি নয়, এই ড্রেন দিয়ে সমস্ত বাড়ির পানি যায়। প্রথম যখন দেখলাম আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাটি কেটে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে তখন এক প্রকার বাধ্য হয়ে ড্রেনের মূক বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কেননা, এই ঈদগাহটি বাঁচাতে হলে এটা ছাড়া উপায় ছিলো না। কিন্তু পরে রাতের আধারে কে বা কারা বন্ধ রাখা মুখ আবারও খুলে দেয়। ফলে বৃষ্টির পানিসহ গ্রামের সমস্ত পানি একই ড্রেন দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে আজকের রাস্তার এই দশা। যদি আগে থেকে উদ্যোগ নেয়া হতো তাহলে হয়তো রাস্কা ভেডে পড়তো না।

এব্যাপারে কানসাট ইউপি চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ও ঈদগাহ কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম যে, ড্রেনের বড় পাইপ দিয়ে সংস্কার করে দিবো। কিন্তু ঈদগাহ কমিটির লোকজন আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। যদি তারা না আসে তাহলে আমি কিভাবে উদ্যোগ নিবো?

এছাড়া রাস্তাটি এলজিইডি কর্তপক্ষের। রাস্তা মেরামতের জন্য এলজিইডি কর্তকপক্ষের সাথে আলোচনা করে রাস্তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শিবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে পড়ার বিষয়টি জানা ছিলো না আমার। আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমি আগামীকাল সোমবার সকালেই পরিদর্শনে যাবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।

আরবিসি/২০ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category