আরবিসি ডেস্ক : আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) রিমান্ডে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। রিমান্ডের প্রথম দিন শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তাদেরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে লাখ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা শত শত কোটি টাকার সন্ধান জানার চেষ্টা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। রাসেল ও তার স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর আমরা দুইটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রথমত যে মামলাটি হয়েছে, সেখানে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কিভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত লাখ লাখ গ্রাহকের যে বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের কথা শোনা যাচ্ছে, সেই টাকা কোথায় আছে?
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে রাসেলের কাছে কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তখন সে হঠাৎ করেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং বুকে ব্যাথা অনুভব করছে বলে জানায়। তখন তাকে হাসপাতালে পাঠানোয় বেশ খানিকটা সময় অপচয় হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তারা দুজনই স্বাভাবিকভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। রিমান্ডে পাওয়া সব তথ্য আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এসআই ওয়াহিদুল।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল প্রকাশ্যে থাকলেও কোম্পানির প্রায় সব ধরনের কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন এবং তার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের হাতে। কোম্পানির হেড অব এইচআর ছিলেন রাসেলের শ্যালিকা সাবরিনা নাসরিন। ডিরেক্টর টেকনিক্যাল শামীমার বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ। ডিরেক্টর পারচেজ অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট শামীমার বন্ধু আতিকুর রহমান। আর তার দুই ভাগ্নে জাহেদ ও জুবায়ের দেখতেন মোটরসাইকেলের বিষয়গুলো। তবে কোম্পানিকে সঠিক পথে চালিয়ে নিতে জবাবদিহিতা ও সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগের অভাব ছিল বলে জানা গেছে।
আরবিসি/১৮ সেপ্টেম্বর/ রোজি