আরবিসি ডেস্ক : দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে এক হাজার ৮৬২ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করায় মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯টি। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, দেশে যদি করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশে নেমে আসে এবং পর পর চার সপ্তাহ তা অব্যাহত থাকে, তাহলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জুলাই মাসে শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রায় দেড়মাস সারাদেশে লকডাউন দেয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরত্বারোপ করে।
ফলে সংক্রমণ ধীরে ধীরে নেমে আসে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনা শনাক্তের হার ৬ থেকে ৭ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছয় শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশে নেমে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ১০৯ জনে।
মৃত ৫১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ২৬ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে, দেশে একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দশ বছরের বেশি বয়সী একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন, সত্তোরোর্ধ্ব সাতজন এবং আশি বছরের বেশি বয়সী দুজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, মৃত ৫১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৯ জন, চট্টগ্রামে আটজন, রাজশাহীতে চারজন, খুলনায় চয়জন, বরিশালে তিনজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
আরবিসি/১৬ সেপ্টেম্বর/ রোজি