• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে নথি গোপনে ফটোকপি নিয়ে দুই কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

Reporter Name / ১৯৮ Time View
Update : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে নয়জন কর্মকর্তার বেতন স্কেল নির্ধারণ বিবরণী ও গোপনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করার প্রতিবাদ করায় দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বোর্ডের সচিবের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বাদশা হোসেন বেশ কিছু কর্মকর্তার বেতন সমন্বয় সংক্রান্ত নথি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অফিসের বাইরে প্রেরণের উদ্দেশ্যে ফটোকপি করেন। ইতিপূর্বেও তার দফতর থেকে বিভিন্ন বেতন শিট বিকৃত করে এবং নোট শিটের কপি বাইরে সরবরাহ করা হয়েছে।

বিষয়টি জানতে উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মানিকচন্দ্র সেন দুজনে মিলে সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের কক্ষে যান। রুমের ভেতরে উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) আগে থেকেই চেয়ারে বসা অবস্থায় ছিলেন।

এসময় উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন জানতে চান- কাগজপত্র ফটোকপি করার বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানান হয়েছে কি বা তার অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা। এতে সচিব ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মানিকচন্দ্র সেনকে তার রুমে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট আটকে রাখেন এবং লাঞ্ছিত করেন।

এসময় রুমে দারজা না খোলার জন্য আনসার সদস্য ও সচিব বল প্রয়োগ করেন। ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করতে পরে পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু পুলিশ সব শুনে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান। পরে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এসে তাদের দুজনকে উদ্ধার করেন।

এনিয়ে সোমবার (১৩ সেপ্টম্বর) শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়ন বিশেষ সভার ডাক দেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবীর। সভায় ১২ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়- অফিসের গোপন কাগজপত্র অসৎ উদ্দেশ্যে ফটোকপি করা, চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া অফিস অভ্যন্তরে পুলিশ ডাকা, সচিব কর্তৃক উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মানিকচন্দ্র সেনকে আনসার সদস্য দ্বারা লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সচিব ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন ও উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বাদশা হোসেন এ ব্যাপারে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার ও সিসি ক্যামেরার সার্ভার কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিষয়টি নিয়ে উপ-সচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন জানান, অফিসের গোপন কাগজপত্র অসৎ উদ্দেশ্যে ফটোকপি করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় আমাকে ও আরেক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি। তাই এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি মাত্র।

আরবিসি/১৫ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category