• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন

বিশ্বে কমেছে সংক্রমণ-প্রাণহানি

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৪৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৬৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে তিনশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৬১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯০ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৪৬ লাখ ৮ হাজার ৬৪১ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৪ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৯ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৮৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ২ হাজার ৬২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৬৫ জনের।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৫১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৩ জনের।

এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৭৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৫০ জন।

প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে মেক্সিকোর নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৩০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১৫০ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩১ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ১১৪ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৯১৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৮০ জন মারা গেছেন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯১ জন, যুক্তরাজ্যে ৭১ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৬ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫৮ জন, তুরস্কে ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৬ জন, স্পেনে ৪৯ লাখ ৭ হাজার ৪৬১ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৬০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৪২ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৮২৮ জন, তুরস্কে ৫৯ হাজার ৩৮৪ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ২৯০ জন এবং জার্মানিতে ৯৩ হাজার ৯৫ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরবিসি/১১ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category