• সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল ৪৬ লাখ

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৬ লাখে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৩৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৮ হাজার।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৩৫৬ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ৮ হাজার ৬৮৮ জনে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৪ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৩ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৬ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩০৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ৭১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪১ জনের।

প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে রাশিয়ার নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ২৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৯০৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৩১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮২ জনের।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫০ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫৮ জনের।

এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৪০৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৮২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৫৪ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ১০ হাজার ৯৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩০ জন মারা গেছেন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ জন, যুক্তরাজ্যে ৭০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯২ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৩ জন, তুরস্কে ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৮ জন, স্পেনে ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৭১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ২৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৪ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৭০৭ জন, তুরস্কে ৫৮ হাজার ৯১৩ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ১৪৭ জন এবং জার্মানিতে ৯২ হাজার ৯৮৮ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরবিসি/০৯ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category