• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

রুয়েটের বাসচালক হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

Reporter Name / ১০১ Time View
Update : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম (৫০) হত্যার মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার বাজেকাজলা মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এসএম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল।
আসামিদের মধ্যে নূর নবীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমজীবন গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুণ্ডুরিয়া গ্রামে। সোহেল রুয়েটের দৈনিক মজুরিভিত্তিক নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। সোহেলই ছিলেন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলায় আরও দুজন কিশোর আসামি আছে। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য চার আসামির বিচার শেষ হলো। এ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে তিনি খুশি বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

একটি মারামারির ঘটনা মিমাংসা না হওয়ার জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েট সংলগ্ন অগ্রনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর বাসচালক আবদুস সালামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সালামের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়।

ওই কিশোর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। পরে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিলেন। অন্য দুই কিশোর আসামির বিচার চলছে শিশু আদালতে।

আরবিসি/০৮ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category