স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের মাঝে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও কালিদাসখালী গ্রাম রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষা হলো না। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের মালামাল ও কালিদাসখালী গ্রামে বসবাসকারীরা চেয়ারম্যানের ভাড়িঘর ভেঙ্গে অন্যেত্রে নিয়ে যায়। দুই সপ্তাহ যাবত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে জিও ব্যাগ ফেলে এটি রক্ষা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন।
জানা যায়, পদ্মায় দ্বিতীয়দফা পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করে। বিষয়টি চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ২১ আগষ্ট থেকে ২০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী সারোয়ার-ই-জাহান ২ সেপ্টেম্বর পদ্মার ভাঙ্গন ও জিও ব্যাগ ফেলার পরিদর্শনও করেন।
ভাঙনকবলিত কালিদাসখালী গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতের কারণে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম এলাকা ভাঙছে। এই পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা কাজ শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বালু ভর্তি জ্রি ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ণ পরিষদ ও গ্রাম রক্ষা করা গেলো না। চলতি সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয়দফা আকস্মিকভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির কারনে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতাও বাড়ছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজজুল আযম বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন কাজ হলো না। অবশেষে আমার নিজের বাড়িটাও সরে নিতে হলো। ইউনিয়ন পরিষদের মালামালও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল বলেন, বাঘার পদ্মা নদীর কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বালুর ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও অবশেষে কোন কাজ হলো না। দুই সপ্তাহে ২০০ মিটার এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
আরবিসি/০৭ সেপ্টেম্বর/ রোজি