স্টাফ রিপোর্টার : চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক মাসের ভাঙ্গনে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি গ্রামের প্রায় ২৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এরপর প্রায় সপ্তাহখানে বিরতি দিয়ে শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুরু করে দু’ঘন্টায় আরও ৭০ মিটার বসতি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এনিয়ে গত একমাসে এ গ্রামের ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভেঙ্গেছে।
ভাঙন শুরুর পর নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি। তীব্র হুমকির মধ্যে রয়েছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী, মোড়লপাড়া, ফাটাপাড়া, চাকপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার।
ভাঙন দেখে এই গ্রামের বাড়ি-ঘর ভেঙে অনত্র নিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত গ্রামবাসী। কাটা হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের গাছ। ইতোমধ্যেই পদ্মায় বিলীন হয়েছে এই গ্রামের পাকা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, মসজিদ সহ বহু স্থাপনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলি আরিফ সরকার জানান, শনিবার সকাল ১১টায় হঠাৎ করে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়। কয়েকদিন বিরতি দিয়ে এদিন মাত্র দু’ঘন্টায় পুরোদমে তান্ডব চলে গোয়ালডুবি গ্রামে।
তিনি জানান, গোয়ালডুবি গ্রামে হঠাৎ করে নদীর পাশ দিয়ে জায়গা নিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং তা অনেকদূর পর্যন্ত গেছে। সাধারণত নদী ভাঙনের এমন ধরন দেখা যায় না।
তিনি আরও জানান, নতুন করে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর পাড়ে জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।
তবে জিওব্যাগ নয়, বাঁধ নির্মাণ করাই স্থায়ী সমাধান বলছেন স্থানীয়রা। শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ নির্মাণ করা গেলে এখনকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম আলী বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকার ৪টি গ্রামের বাসিন্দারা কঠিন সময় পার করছে। তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সর্বনাশা পদ্মা যেভাবে তার আগ্রাসী থাবা দিয়েছে তাতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করা অসম্ভব। কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরে ব্লক নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী বছর বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে এই এলাকার মানুষ। এছাড়াও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আরবিসি/০৫ সেপ্টেম্বর/ রোজি