আরবিসি ডেস্ক : প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই সিরিজ জেতা অসম্ভব কিছু নয়।
চলতি সিরিজে আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ টি-টোয়েন্টি খেলে প্রতিটি হেরেছিল বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রথম জয় আসে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। জয়টা এসেছিল খুব সহজেই। ৬০ রানে অতিথিদের আটকে দিয়ে ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ড অবশ্য দারুণ লড়াই করেছিল। বাংলাদেশের ১৪১ রানের পুঁজির জবাব দারুণভাবে দিচ্ছিল নিউ জিল্যান্ড। শেষ বলে একটি ছক্কা হলেই হিসেব মিলিয়ে ফেলত। কিন্তু ভাগ্যদেবী শেষ হাসিটা হাসান বাংলাদেশকে। মাহমুদউল্লাহরা ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় জিতে যান দ্বিতীয় ম্যাচও।
এবার সিরিজ জয়ের মিশন। রোববার তৃতীয় ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে একই মাঠে, একই সময়ে। সমর্থকদের এ ম্যাচকে ঘিরে একটাই চাওয়া, উইকেটটা যেন আরো ভালো হয়। ধীর গতির, অসমান বাউন্সের উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পরানে আটকে সেই রান তাড়া করে জিতে বাংলাদেশ জয়ের অভ্যাস তৈরি করছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি আমেজ পাওয়া যাচ্ছিল না মোটেও।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর প্রচণ্ড সমালোচনাও হয়েছিল উইকেট নিয়ে। ব্যবহৃত উইকেটে টানা খেলা হওয়ায় উইকেট পরিচর্যার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উইকেটের তারতম্য বোঝা যাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট কিছুটা হাসিয়েছে। রানের ফোয়ারা না হলেও ব্যাটসম্যানরা টাইমিং মেলাতে পেরেছেন। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ভারসাম্যও ছিল। সামনের ম্যাচগুলিতে অন্তত রান ফোয়ারা ও বাউন্ডারির ফুলঝুরি দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে নিজেদের যতটা পারে ঝালিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। বড় স্কোর না হোক জয়ের অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। বিশ্বমঞ্চে মাঠে নামার আগে তিনটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এখান থেকে সর্বোচ্চটা নিতে চায় স্বাগতিকরা। তবে সবার আগে নিশ্চিত করতে চায় সিরিজ।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ড্র করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে তাদেরকে একাধিকবার হোয়াইটওয়াশ করেছে। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের অপেক্ষা। কাজটা কঠিন হবে তবে অসম্ভব নয়। তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলে বাংলাদেশের সাফল্যভান্ডারে নিশ্চিত বড় অর্জন যুক্ত হবে।
আরবিসি/০৪ সেপ্টেম্বর/ রোজি