• রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেট

Reporter Name / ৭২ Time View
Update : শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি। উজানের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন র্বোড।

জানা গেছে, ভারী বর্ষণের কারণে ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়। এতে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। তিস্তার পানিতে পাটগ্রামের বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন চর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া তিস্তার সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। কিছু কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিচ্ছেন।

হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারীর পানিবন্দি মানুষ জানান, বন্যার পানি নামতে না নামতেই এ বছর চতুর্থবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তারা। তাই দ্রুত তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি করেন তারা।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা ও ছোট নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। তবে তিস্তার পানি শুক্রবার বিকেল থেকে কমে যেতে পারে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, চার দিন আগে ভেন্ডাবাড়ি চরের দুই নম্বর স্পার বাঁধটি দেড়শ মিটার ভেঙে গেছে। এর ফলে প্রায় দুইশ পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে কপাল পুড়বে এই এলাকার মানুষের।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, হঠাৎ করে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা। কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

আরবিসি/০৩ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category