স্টাফ রিপোর্টার : নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) রাজশাহীর এমডি জাকিউল ইসলামসহ বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন কর্মকর্তা ও দুইজন উচ্চমান সহকারি।
তাদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে বিল উত্তোলন, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাত এবং ঘুষ, দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ লুটপাট ও কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আল-আমিন, উপসহকারী পরিচালক সদীপ কুমার চৌধুরী, সহকারী পরিদর্শক মাহবুবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত টিম বুধবার নেসকো বিদ্যুৎ ভবন রাজশাহীতে একটি অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় দুদক টিম নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড রাজশাহী অফিস সরজমিনে পরিদর্শনকালে অফিসের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আজিজ ও অপর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ গোলাম আহম্মেদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা গত ১৮-১৯ অর্থ বছরে লাইট লাগানোসহ অন্যান্য কাজের টেন্ডার সংক্রান্ত সকল রেকর্ড-পত্র তৎক্ষণাৎ সরবরাহ করতে বলেন। কিন্তু আব্দুল আজিজ তা পারেননি। ফলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব কাগজপত্র ও রেকর্ড সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে, গত ১৮-১৯ অর্থবছরে লাইট লাগানো টেন্ডার সংক্রান্ত সকল রেকর্ড-পত্রের ফটোকপি; অফিসের ডিজিটাল হাজিরার রেকর্ড; এমডির গত ১৪ মাসের টিএ/ডিএ সংক্রান্ত বিলের সকল রেকর্ড-পত্রের ফটোকপি, ঢাকা লিয়াজো অফিস ও রেস্ট হাউজের ভাড়াসহ গত এক বছরের তথ্যাদি।
এছাড়াও ২০২০ সালের ১ম ও ২য় শ্রেণীর পদে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড-পত্রের ফটোকপি, নেসকো রাজশাহীর মোট গ্রাহক সংখ্যা ও বকেয়া বিলের গত এক বছরের তথ্যাদি, ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রকল্প সমূহের তালিকা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সকল রেকর্ড-পত্রের ফটোকপি, এছাড়াও অভিযোগে বর্ণিত কর্মকর্তাদের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে টিএ/ডিএ বিলের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়াও দুদক টিম নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আজিজ, নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ গোলাম আহম্মেদ, সৈয়দ আবু তাহের (ডিসিএস), সুব্রত কুমার দাস (নির্বাহী পরিচালক), শরিফুল আওলাদ (নির্বাহী পরিচালক), আবু মোতালেব (ম্যানেজার), দেলোয়ার হোসেন (ডিজিএম), নজরুল ইসলাম (উচ্চমান হিসাব সহকারী) ও শহীদুল ইসলাম (উচ্চমান হিসাব সহকারী) এবং তাদের স্ত্রীদের সর্বশেষ আয়কর নথির ফটোকপি দুদক, রাজশাহী কার্যালয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অপরদিকে, দুদক দলটি পরবর্তীতে অভিযোগে উল্লিখিত গাড়ির তথ্যের জন্য বিআরটিএ রাজশাহী অফিস হতে এবং বাড়ি ও ফ্ল্যাট সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আরডিএ ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা তৎক্ষণাৎ তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি।
তবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে উক্ত তথ্যসমূহ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যালোচনায়পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে পরবর্তিতে কমিশনে জমা দিবে দুদক টিম বলে জানা গেছে।
আরবিসি/০২ সেপ্টেম্বর/ রোজি