স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত একমাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জুন ও জুলাইয়ের থেকে এ মাসে মৃত্যু কম হয়েছে। আমরা করোনা ওয়ার্ডও কমিয়ে নিয়ে আসছি। তারপরও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
রোগী কমে আসায় আরেক দফা শয্যা কমানো হয়েছে রামেকের করোনা ইউনিটে। ৪১৮ থেকে নামিয়ে এই ইউনিটের শয্যা এখন ২৮। ১২টি ওয়ার্ডের পরিবর্তে এখন থেকে আটটি ওয়ার্ডে চলবে করোনার চিকিৎসা।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুলাই পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৩৯ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ২ হাজার ৫১১ জন। এই ১৫ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়। নাটোরের দুজন এবং রাজশাহী, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন করে মারা গেছেন।
এরমধ্যে পাবনা ও নাটোরের দুজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। রাজশাহীর একজন করোনা নেগেটিভ থাকলেও শারীরীক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে মারা গেছেন। অন্য দুজন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন ১৫৩ জন। হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা ২৮৬টি।
সোমবার দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে রাজশাহী জেলার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরবিসি/৩১ আগস্ট/ রোজি