আরবিসি ডেস্ক : মাঝ আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও ফ্লাইটটিকে দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড’।
আজ রবিবার বিমানের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে, ক্যাপ্টেন নওশাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বিমানের একটি সূত্র বলেছে, নাগপুরের হোপ হাসপাতালে কোমায় থাকা ক্যাপ্টেন নওশাদ ক্লিনিকালি ডেড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। কিন্তু পাইলটের আত্মীয়-স্বজন এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। আত্মীয়-স্বজনদের এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন। গত শনিবার রাতে তিনি কোমায় চলে যান।
এর আগে গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেছিলেন, আকাশে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথেই নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।
জরুরি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালে নেয়া হয়। তার এনজিওগ্রাম করা হয়। বিমান সূত্র জানায়, শনিবার রাতেই ক্যাপ্টেন নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পাইলট এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদ একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।
আরবিসি/২৯ আগস্ট/ রোজি