• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
বিয়ে করে আলোচনায় অদিতি-সিদ্ধার্থ হাসপাতাল থেকে বাসায় খালেদা জিয়া গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদদের নিয়ে মামলার নামে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত, ছড়িয়েছে ২৭ দেশে আগামী শুক্রবার থেকে সপ্তাহে সাতদিনই চলবে মেট্রোরেল সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, যা বললেন জনপ্রশাসন সচিব ‘আওয়ামীলীগ এতিমের বাচ্চা হয়ে গেছে’ সংস্কার শেষে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে: রাজশাহীতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ যোগদানের আড়াই ঘন্টা পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন রাজশাহী কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ

পোস্ট আপনার, অশান্তি অন্যের!

Reporter Name / ২০৫ Time View
Update : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন যতই হাতের নাগালে আসছে প্রিয়জন কিন্তু ততই দূরে সরে যাচ্ছে! এক সময় ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন ছিল বিলাসী। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেটাই এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকার কথা চিন্তা করতে পারে কিন্তু হাতের স্মার্টফোন এবং তার ইন্টারনেটহীনতা ভাবতেই পারেনা।

অনেকের কাছে ব্যাপারটা মাদকের মতোই নেশালু। ফলে দৈনন্দিন সকল খুঁটিনাটি তারা শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর সেই সূত্র ধরে ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন পরিবারে। একটা সময় মানুষের ঘরের গোপন খবর গোপন রাখাই নিয়ম ছিল। এমনকি পরিবারের বিশেষ করে যৌথ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জানাতে দ্বিধা বোধ করতো। পারিবারিক মান, অভিমান কিংবা ঝগড়া বিবাদ অথবা আনন্দ উৎসবই হোক না কেন তা একান্তই নিজেদের ভেতরই ছিল।

এখন মানুষ মান অভিমান করলে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে অন্যেরা এমনকি অপরিচিতরা সেটা জানছেন। আবার সে মান ভাঙাতে হাজবেন্ড কি ‘উপহার’ দিলো সেটাও পরে শেয়ার করেন। কেউ হয়তো টাকা দিয়ে বানানো তোড়া উপহার দিচ্ছেন কেউবা হিরের দামি আংটি। ফলে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েও আশা রাখেন তার মান ভাঙাতে তার স্বামীও তাকে এসব দেবেন।

কিন্তু আসলেই কি সেটা সম্ভব বা বাস্তব? ফলে এসব নিয়ে বাদানুবাদ আরও বেড়ে যায়। সাধারণ বিবাদ পৌঁছে যায় বিচ্ছেদ পর্যন্ত। অথচ যাদের বিবাদ নিয়ে এসবের সৃষ্টি তারা হয়তো সুখেই কাটাচ্ছেন সংসার। আবার বিবাহবার্ষিকী কিংবা জন্মদিনে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে চমকে দিতেও অনেকে অনেক ধরনের আয়োজন করে থাকেন। এক শ্রেনীর মানুষ এসব দেখে মনে মনে সেরকম কিছু প্রত্যাশা করতে থাকেন। আর এসব প্রত্যাশা যখন পূরণ হয়না তখন একটা চাপা ক্ষোভ ভেতরে ভেতরে থেকে যায়, যা পরবর্তীতে বিস্ফোরণে রুপ নেয় অনেকের ক্ষেত্রেই।

তাই নিজেদের আনন্দঘন মুহূর্তের সকল ছবিই যে শেয়ার করতে হবে বিষয়টা সেরকম না। কিছু জিনিস একান্ত থাকাই শ্রেয়। আপনার প্রতি প্রিয়জনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়তো অন্যরকম, তাই অন্যের পোস্ট দেখে সেরকম কিছু আশা করাটাও কিন্তু ঠিক না। যদিও এটা যে যার জায়গা থেকেই অনুধাবন করা উচিত কিন্তু বর্তমান অস্থির সময়ে সে সময় আছে কার?

তাই যারা এসব পোস্ট শেয়ার করেন সচেতনতাটা সেখান থেকেই হওয়া জরুরি। কেননা আপনার সুখ যাতে অন্যের অসুখের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। এখানে বলে রাখা ভালো, ফেসবুকে অনেকেই আছেন যারা অন্যের ছবি কপি করে নিজেদের বলেও চালিয়ে দেয়। অর্থাৎ ফেসবুকের বা অন্য সামাজিক মাধ্যমের সকল পোস্টই যে বাস্তবিক সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু সে সচেতনতা তো আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সৃষ্টি করতে পারবেনা। সচেতন হতে হবে আমাদের, অর্থাৎ ব্যবহারকারীর। কেননা সামাজিক অবস্থান এবং ব্যক্তি ভেদে মানুষের অনুভূতির বা আবেগের প্রকাশ ভিন্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। এমনকি একজন মানুষ চাইলেও তার আর্থিক দুর্বলতার কারণে অনেক কিছুই করতে পারেনা। আবার অনেকে এটাকেই অজুহাত মানেন। তাদের ভাষ্য, চাইলে যে কেউই অল্প অল্প সঞ্চয় করে প্রিয়তমাকে দামি গিফট করতেই পারে। তবে সেটাও কিন্তু সকল অবস্থায় সম্ভব নাও হতে পারে, পরিস্থিতির ভিন্নতায়। কিন্তু আমরা কি সেটা বুঝি?

আরবিসি/২৯ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category