আরবিসি ডেস্ক : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকাসহ বিভিন্ন এলাকা।
নদী অববাহিকার নিচু এলাকাসহ চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার কয়েক শ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেতসহ সবজি ক্ষেত।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের উজানে ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কুড়িগ্রামে নদ-নদীগুলোতে আরও দুই থেকে তিন দিন পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া গ্রামের সাহেব আলী বলেন, দুদিন থেকে পানিবৃদ্ধির ফলে বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না, বাড়ির চারদিকে পানি। কোথাও গেলে নৌকা ছাড়া যাওয়ার উপায় নাই। আমার তো নৌকা নাই। বড় বিপদে পড়েছি। যেভাবে পানি বাড়ছে, আজকের মধ্যেই ঘরে পানি ঢুকে পড়বে। বউ-বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাব, কী খাব, বুঝতে পারছি না।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মঈনুদ্দিন ভোলা বলেন, আমার ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এটা অব্যাহত থাকলে আরও অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। তা ছাড়া গ্রামীণ রাস্তাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় এক প্রকার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে।
যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, পানিবৃদ্ধির ফলে আমার ইউনিয়নে চর ও দ্বীপ চর এলাকায় প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষ নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় করে যাতায়াত করছে।
আমি ইউএনও স্যারের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছি। আজ সম্ভবত পানিবন্দি মানুষজনকে শুকনো খাবার দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
আরবিসি/২৮ আগস্ট/ রোজি