আরবিসি ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে স্কুলে খুলে দিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহামারী পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সেই অনুকূল পরিস্থিতি আর পাওয়া যায়নি। দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নানা মহলের চাপের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে চারটি কর্মপরিকল্পনা আসে।
তার পরদিন শুক্রবার গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার। “বৃহস্পতিবারই সবাইকে নিয়ে একটি যৌথ সভা করেছি, সেখানে আমরা কী করে আগামী এক মাসের মধ্যেৃ যত দ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের যারা ১৮ বছরের বেশি, যাদেরকে টিকা দেওয়া যাবে, তাদেরকে টিকা দেয়া শেষ করা।
“টিকা দেওয়ার পরে যেহেতু আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে ইমিউনিটি পেতে, একটা পর্যায়ে আসতে। অর্থাৎ আমরা অক্টোবরের মাঝামাঝির পরে আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুলে দিতে পারব “ শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে’ সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা। তবে বর্তমান পরিস্খিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা যায়, সেজন্য সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
“আমাদের এখানে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই তাদের বাড়িতেও স্বল্প পরিসরে অনেকের সঙ্গে বসবাস করে। তারপরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ আছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আছে। নানান রকম সমস্যা আছে। “সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে আবার সামনের সপ্তাহে বসব এবং ঠিক কত শতাংশে নামলে আমরা খুব বড় ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব, এটা বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করব।”
ডিজিটাল ডিভাইসের ‘নেতিবাচক প্রভাব’ থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে ডিজিটাল লার্নিং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাবে। সেখানে কী করে আমরা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইসের নেতিবাচক দিক থেকে মুক্ত রাখব সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেমন দায়িত্ব আছে, অভিবাবকদের একটা বিরাট দায়িত্ব আছে।” কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন
আরবিসি/২৭ আগস্ট/ রোজি