আরবিসি ডেস্ক : টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে এ ধারা অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানিও বাড়ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
অন্যদিকে পানিবৃদ্ধির ফলে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। এতে ভাঙন অব্যাহত থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে নদীপারের মানুষ। ভীতিও কাজ করছে তাদের মনে। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন জেলার গোখামারিরা।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার আব্দুল লতিফ (পানি পরিমাপক) জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। বন্যাকবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন আরও বলেন, যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে জানান, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও কোনো খারাপ পরিস্থিতির খবর নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।
আরবিসি/২৬ আগস্ট/ রোজি