স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলে ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ ইমোতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সম্পর্ক তৈরির পর অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নানাভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন নানান তথ্য। সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে লোপাট করতেন অর্থ। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এমন ছদ্মবেশী ইমো হ্যাকারচক্রের দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বুধবার দিবাগত রাতে বাঘা থানার পানিকামড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুইজনের একজন বাঘার মালিয়ানদহ গ্রামের মো. মহসিন আলীর ছেলে মো. গোলাম রাব্বী (১৯) ও অপরজন একই উপজেলার জোতকাদিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান শাহের ছেলে মো. সেলিম রেজা সাদ্দাম (২৬)।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও পুলিশের জেলা মুখপাত্র মো. ইফতেখায়ের আলম। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বাঘা এলাকায় রাব্বী ও সাদ্দাম নামের দুই প্রতারক নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার না করে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর যুক্ত করত। নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ কৌশলে প্রকৃত অ্যাকাউন্টধারীদের কাছে থেকে ওটিপি পিন হাতিয়ে নিত। পরে সেই ওটিপি পিন ব্যবহার করে তারা ইমো আইডি খুলতো এবং টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কিংবা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে তারা অন্যের ইমো নম্বর হ্যাকের মাধ্যমে অর্থ লোপাট করত। এ কাজের সঙ্গে তারা ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রতারক বা হ্যাকার যুক্ত আছেন বলেও গ্রেফতার দুজন স্বীকার করেছেন।
পুলিশের এ মুখপাত্র আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় বাঘা থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূলত ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে নানা কৌশল অবলম্বন করে প্রতারকরা টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রথমে সুসম্পর্ক গড়ে থাকে। পরে তাদের কাছে থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় অর্থ। এমন প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরবিসি/২৬ আগস্ট/ রোজি